নৈতিক সমাজ

আমাদের সম্পর্কে

নৈতিক মূল্যবোধ সমৃদ্ধ বলিষ্ঠ রাজনীতি

প্রাথমিক বর্ণনা

১। পটভূমি: ষাটের দশকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান অভূতপূর্ব ভাবে সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। অবশেষে মুক্তির সংগ্রাম সশস্ত্র স্বাধীনতা যুদ্ধে রুপ নেয়, বিজয় অর্জিত হয় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদদের তাজা রক্তের বিনিময়ে। তাঁদের বীরত্ব, দেশপ্রেম ও আত্নত্যাগ বিশ্বে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। স্বাধীনতা, জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং সমতার ভিত্তিতে একটি শোষনমুক্ত ন্যায্য-সমাজ গড়ে তোলা ছিল মহান মুক্তিযুদ্ধের অনুপ্রেরণা। অত্যন্ত দুঃখজনক যে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও অমর শহীদদের মহান দৃষ্টান্তগুলো, সততা, দেশপ্রেম ও ত্যাগের চেতনাগুলো আমাদের রাজনীতি ধরে রাখতে পারেনি। তাই বার বার পড়তে হয়েছে ফুটন্ত কড়াই থেকে জলন্ত চুলায়। এখন প্রয়োজন আর একটি মুক্তিযুদ্ধসম সংগ্রাম। নীচের সংক্ষিপ্ত বর্ণনায় বিষয়টি স্পষ্ট ভাবে ফুটে উঠবে।

২। নির্মোহ মূল্যায়ন: স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্তী হলো। সময়টা খুব বেশি নয়, আবার খুব কমও নয়। কারন এ রকম সময়ের মধ্যেই পূর্ব এশিয়ার অনেক সমস্যা জর্জরিত ছোট-বড় দরিদ্র দেশ তৃতীয় বিশ্ব থেকে প্রথম বিশ্বের দোড়-গোড়ায় পৌঁছে গেছে। আমাদেরও অর্জন অনেক আছে, মেগা উন্নয়নও হয়েছে। কিন্তু সংখ্যগরিষ্ঠ মানুষ উন্নয়নের সুফল পায় নি। মেগা বৈষম্য বেড়েছে, ধনী আরও ধনী হয়েছে, গরীব আরও গরীব হচ্ছে। মধ্যবিত্তরা পিছনে পড়ে যাচ্ছে। রাষ্ট্রে ক্ষমতায় কোনো ভারসাম্য নেই। ক্ষমতার নগ্ন ব্যাবহার একটি বাস্তবতা; মূল্যবোধহীন রাজনীতি আর একটি বাস্তবতা। তত্বাবধায়ক ব্যবস্থা যারা এনেছিলেন, তারাই তা তুলে দিলেন। ফলে গণতন্ত্র, আইনের শাসন, ন্যায় বিচার ও ভোটাধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত হতে পারেনি। দশক দশক ধরে চলা অনৈতিক রাজনীতির অপঃসংষ্কৃতি, অপরাধ, দূর্নীতি ও দূর্বৃত্তায়ন সমাজে নৈতিক মূল্যবোধের ধ্বস নামিয়ে দিয়েছে। রাজনীতি, ব্যবসা-বানিজ্য, চাকরি-বাকরি, চিকিৎসা, ব্যাংক ঋণ – সবকিছু থেকে সবাই রাতারাতি শত-সহস্র কোটি টাকার মালিক হতে চায়। বিচারহীনতার কারনে দূর্নীতি এখন সীমাহীন। ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের গ্লোবাল শেপার্স সাভে © – ২০১৬ অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রধান সমস্যা হলো – দূর্নীতি। বিভিন্ন অঞ্চলে মাদক-বিরোধী অভিযানের নামে দীর্ঘদিন ধরে ত্রাসের রাজত্ব চলছে, চলছে বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড। সর্বনাশা মাদক চোরাচালান কমছে না। সড়কে মৃত্যুর মিছিল থামছে না। অগনিত নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ, হত্যার শিকার হচ্ছে – সামাজিক অপরাধ বেড়েই চলেছে। আইনের শাসনহীনতা ও বিচারহীনতা এসব বাড়িয়ে দিচ্ছে। ৩০-৩৫ লক্ষ মামলা ঝুলে আছে, জট বাড়ছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক নিরাপত্তা, ত্রাণ-পুনর্বাসন, ব্যাংক, হাসপাতাল, ব্যাবসা-বানিজ্য, সরকারি সেবা – সকল ক্ষেত্রেই নৈরাজ্য স্পষ্ট। পত্রিকাগুলোতে প্রতিদিন ফুটে উঠছে আরো অনেক করুন চিত্র; ম্লান করে দিচ্ছে দেশের ভাবমূর্তী ও সকল জাতীয় অর্জন। সাধারণ মানুষের মনে শান্তি-সস্থি নেই, সবাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে, সবাই দারুন হতাশাগ্রস্থ, ভবিষ্যত নিয়ে খুব উদ্বিগ্ন। ভিতর থেকে একটা দেশ এভাবে দুর্বল হতে থাকলে একদিন হয়ত স্বাধীনতাই ঝুঁকিতে পড়বে, দাড়িয়ে যাবে জঙ্গি-মৌলবাদী শক্তি। অথচ ৫০ বছরে বাংলাদেশ অনেক বেশি উন্নত হতে পারত; এখনো হতে পারে; সব উপাদানই আছে। শুধু মাত্র রাজনীতি হতে হবে নৈতিক মূল্যবোধ সমৃদ্ধ। তা হলে ১ দশকেই বাংলাদেশ হবে “রাইজিং টাইগার”। পরের ৩/৪ দশকে পৌঁছে যেতে পারে প্রথম বিশ্বের কাতারে।

৩। প্রধান সমস্যা : অন্তহীন মেগা সমস্যায় আমরা জর্জরিত। ছোট-বড় সকল সমস্যার শিকড় হলো অনৈতিক অপঃরাজনীতির কুসংষ্কৃতি এবং মানবিক-সামাজিক-নৈতিক মূল্যবোধের চরম অধঃপতন। এই দুই প্রধান সমস্যার কারনে দশক দশক ধরে চলছে প্রশাসনের দলীয়করন, রাজনীতির ভয়ানক দূর্নীতিকরন ও দূর্বৃত্তায়ন। ফলে হারিয়ে যাচ্ছে গণতন্ত্র, আইনের শাসন, দেশপ্রেম এবং সততা। রাজনৈতিক মূল্যবোধের ঘটছে ভয়ানক অবক্ষয়। এখন রাজনীতি করা মানেই হল – ন্যায়-অন্যায় যে কোন ভাবেই হোক ক্ষমতা দখল করা; বড়-ছোট সব ব্যাবসা, ঠিকাদারী, সরকারী ক্রয়/বিক্রয়, লাইসেন্স-পারমিট কুক্ষিগত করা এবং চুরি-ঘুষ-দূর্নীতি-লুন্ঠন-জালিয়াতি-চাঁদাবাজি ও দালালী করে রাতা-রাতি শত-সহস্র কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া। এ সব দেখে ছাত্র-যুব রাজনীতিও সন্ত্রাস ও দূর্বৃত্তায়নে জড়িয়ে পড়েছে; কিশোর গ্যাং তৈরী হয়েছে। সীমাহীন লোভ-লালসা-ভোগবাদীতা-হিংসা-বিদ্বেষ-হানাহানি, বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড, ধর্ষন, নারী ও শিশু নির্যাতন, দলা-দলি, নোংরামী, আধিপত্য বিস্তার ও ক্ষমতার অপব্যবহার রাজনৈতিক পরিবেশ দূষিত-কলুষিত-বিষাক্ত করে ফেলেছে। ভালরা তাই রাজনীতিকে ঘৃনাভরে প্রত্যাখান করছেন, মর্যাদা সম্পন্ন কেউ আসছেন না। ফলে সৃষ্টি হয়েছে সৎ, বিচক্ষণ ও দূরদর্শী নেতৃত্বের বড় সংকট। নেতৃত্বের সংকট ঘণীভূত করেছে গণতন্ত্রের সংকট; সৃষ্টি করেছে রাজনৈতিক সংকট। সমুদ্র-পৃষ্ঠ শান্ত মনে হলেও তীব্র হচ্ছে অসন্তোষের নিম্ন-স্রোত (আন্ডার-কারেন্ট); মানুষের হতাশাকে পুঁজি করে শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে উগ্রবাদ-জঙ্গিবাদ-মৌলবাদ।

৪। যুগ–সন্ধিক্ষন: উপরন্তু কোভিড-১৯ একটি অসামান্য প্যানডেমিক সৃষ্টি করেছে, সৃষ্টি করেছে একটি নতুন যুগ-সন্ধিক্ষন, যা বদলে দিতে পারে জাতীয় ও বৈশ্বিক ক্ষমতার মেরুকরণ, ঘুরিয়ে দিতে পারে ভূ-রাজনীতির মোড়, যার প্রভাব হতে পারে যুগান্তকারী। আর্থ-সামাজিক, আর্থিক-ব্যাবসায়িক, রাজনৈতিক, স্ট্রাটেজিক এবং ভূ-রাজনৈতিক অনেক কিছুই ওলট-পালট হয়ে যেতে পারে, যা এই মুহুর্তে প্রায় অচিন্তনীয়। জলবায়ু পরিবর্তন এবং মারাত্নক পরিবেশ দূষণ অস্তিত্বের আরও একটি বিশ্ব-সংকট তৈরী করেছে যার অন্যতম প্রধান ভুক্তভোগী হল বাংলাদেশ। আঞ্চলিক ভূ-রাজনৈতিক জটিলতাও দেখা দিয়েছে। রাজনীতিতে মেধা, বিচক্ষণতা ও সততার অভাব থাকলে কোন নেতৃত্বই এ যুগ-সন্ধিক্ষনে একটি দেশ ও জাতিকে সঠিক পথ দেখাতে পারবে না।

৫। মানুষের প্রত্যাশা: নিরাপদ সড়কের দাবিতে স্কুলের শিশু-কিশোর ছেলে মেয়েরা ২০১৮ সালে আন্দোলন করে ‘‘রাষ্ট্রের মেরামত’’ চেয়েছিল। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল। দুই বছর পেরিয়ে গেছে, কিন্তু “মেরামতের”কোন লক্ষন নেই। মানুষ নিরাপদে সুখে শান্তিতে বাঁচতে চায়; অপরাধ, দূর্বৃত্তায়ন ও দূর্নীতিমুক্ত রাজনীতি চায়। দলে-দলে শত্রু-শত্রু ভাব ও হানাহানি চায় না। নিয়োগ বানিজ্য ও প্রশাসনের দলীয়করণ নিয়ে মানুষ বিরক্ত। সবাই হয়রানি মুক্ত সরকারী সেবা চায়। সবাই চায় দলতন্ত্র / গোষ্ঠিতন্ত্র / পরিবারতন্ত্র মুক্ত সত্যিকার গণতন্ত্র, সবাই চায় ভোটের অবাধ ও পূর্ণ অধিকার, আইনের নিশ্চিত শাসন, ন্যায় বিচার,মিডিয়া-স্বাধীনতা, বাক- স্বাধীনতা এবং মৌলিক মানবাধিকার। সবাই চায় অন্ধ ক্ষমতার নগ্ন রাজনীতি দূর হোক। মানুষ আশায়/অপেক্ষায় আছেন – কবে সৎ নেতৃত্ব আসবে; কবে রাজনৈতিক দূর্নীতি-দুর্বৃত্তায়ন-অপঃসংষ্কৃতি দূর হবে; জনগনের সত্যিকার ক্ষমতায়ন হবে; কবে পুলিশ মানুষের সৎ সেবক হবে, কবে গুম-খুন বন্ধ হবে,সরকারী অফিসে ঘুষ / হয়রানি বন্ধ হবে? কবে সবাই পাবেন সুচিকিৎসা ও উন্নত শিক্ষার নিশ্চিত সুযোগ, কবে নৈতিক সমাজ ও নৈতিক রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত হবে! ঘড়ে ঘড়ে আজ আলোচিত হচ্ছে মানুষের এসব প্রত্যাশা। জরীপ ছাড়াই বলা যায় যে সবাই আমূল পরিবর্তন চায় – সৎ, মেধাবী, বিজ্ঞ-বিচক্ষন ও দক্ষ-অভিজ্ঞ মানুষদের নৈতিক নেতৃত্ব চায়, পরিচ্ছন্ন রাজনীতি চায়, সমাজে নৈতিক মূল্যবোধের পূণর্জাগরণ চায়। বিষয়গুলো ভীষন কঠিন-জটিল; মনে হয় অসম্ভব। আসলে সমাধান সম্ভব। বাঁধা-বিপত্তি আসবে, তবুও এগিয়ে যেতে হবে দৃঢ় সংকল্প নিয়ে। অবশ্যই সততা ও সত্যের জয় হবেই।

৬। সমাধান: মৌলিক প্রয়োজন নৈতিক জাগরণ, সততা ও দেশপ্রেমের জাগরণ এবং মানবিক মূল্যবোধের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করা। প্রাথমিক স্কুলগুলো থেকে শুরু করে কর্ম-জীবনের সকল ক্ষেত্রে শক্তিশালী ও কার্যকর কর্মসূচী চালাতে হবে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ও গণশিক্ষার মাধ্যমে জনগনের মধ্যে গণতন্ত্রের চেতনা ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধা শানিত করতে হবে। এজন্য সামাজিক ও রাজনৈতিক আন্দোলন যুগপৎ চালাতে হবে। কারন সার্বিক রাজনৈতিক-সংষ্কৃতি সৎ, নৈতিক ও মানবিক না হলে, প্রশাসনিক সহযোগীতা না থাকলে সামাজিক আন্দোলন সফল হতে পারে না। সমস্যাগুলো রাজনৈতিক, সুতরাং প্রথমেই প্রয়োজন রাজনৈতিক সমাধান – শক্তিশালী ও কাঠামোগত রাজনৈতিক সংষ্কার। অর্থাৎ রাজনীতির অপঃসংষ্কৃতি দূর করা, রাজনীতিকে নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধ সমৃদ্ধ করা, রাজনীতিতে প্রচলিত অগণতান্ত্রিক অপঃকৌশল-কূটবুদ্ধি, কপটতা-শঠতা নির্মূল করা এবং নেতৃত্বের উচ্চ ও নিম্ন সকল পদের দূর্নীতি ও ক্ষমতার লোভ কঠোর ভাবে দমন করা। ভিশন, মিশন, অঙ্গীকার ও নীতি-আদর্শ ঠিক করে গড়ে তুলতে হবে নৈতিক, মানবিক মূল্যবোধ ও শুদ্ধ আচরন সমৃদ্ধ একটি শুভ রাজনৈতিক শক্তি, একটি নতুন রাজনৈতিক সংগঠন। নেতৃত্বে আনতে হবে সৎ, নীতি-নিষ্ঠাবান, মেধাবী ও বিজ্ঞ-অভিজ্ঞ মানুষদের। তাদের মাধ্যমে সারাদেশে ব্যাপক প্রচার চালাতে হবে; জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে হবে এবং জাতীয় সংসদে যেতে হবে। সংসদের ক্ষমতা, সরকারের ক্ষমতার সদব্যবহার করে সমাধানের বৈপ্লবিক ও শুভ-পরিবর্তন আনতে হবে।

৭। কেন নতুন দল: সমাধানের জন্য নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধ সমৃদ্ধ ও জনস্বার্থের বিশুদ্ধ রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতেই হবে। এজন্য নৈতিক চরিত্রের নতুন রাজনৈতিক দল প্রয়োজন। বেশীর ভাগ দলে সুস্থ / পরিচ্ছন্ন / সৎ রাজনীতির দারুণ অভাব আছে। সব খানেই অনৈতিক রাজনৈতিক অপঃসংষ্কৃতি জেঁকে বসে আছে। তাদের পক্ষে সহসা এ সব বদলানো কঠিন; সহজে বেরিয়ে আসা কঠিন। তাছাড়া “যা সমস্যার অংশ তা সমাধানের অংশ হতে পারে না”। সমাধান দিতে পারবে সুস্থ-পরিচ্ছন্ন, নীতি-নৈতিক ও মূল্যবোধ সমৃদ্ধ নতুন রাজনীতি, নতুন দল। নতুন দল গঠন এখন খুবই সম্ভব, কারণ ইতোপূর্বে জনগনের মধ্যে বিভিন্ন দলের প্রতি যে অন্ধ আনুগত্য ছিল, আস্থা ছিল – এখন তা আর নেই; সৃষ্টি হয়েছে রাজনৈতিক শূন্যতা। ফলে নতুন দলের জন্য রাজনৈতিক জায়গা এবং গ্রহনযোগ্যতা তৈরী হয়েছে। নতুন দল এ শূন্যতা পূরণ করতে পারে।

৮। উপসংহার: দ্রুত গড়ে উঠে এবং ২০২৩ সালের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়ে বেশ কিছু আসন জিততে পারলে শুরু হতে পারে সমাজ সংষ্কারের ও রাজনৈতিক পরিবর্তনের একটি বৈপ্লবিক নতুন ধারা,গড়ে উঠতে পারে শুদ্ধ রাজনৈতিক দৃষ্টিভংগী এবং দাঁড়িয়ে যেতে পারে একটি নৈতিক ও শক্তিশালী জন-গণতান্ত্রিক ব্যাবস্থা। কঠিন মনে হলেও এখন সময়ের দাবী – জনগনের স্বার্থে, ভবিষ্যত প্রজন্মের স্বার্থে, ভয়-ভীতির উর্ধে উঠে, একটি নৈতিক দল এবং মানবিক রাজনীতি শুরু করা। এ লক্ষ্যে “ নৈতিক সমাজের” একটি খসড়া আদর্শ, নীতিমালা ও গঠনতন্ত্র উপস্থাপন করা হলো। প্রাথমিক ভাবে এর ভিত্তিতে সকল জেলা/মহানগর, উপজেলা/থানা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড/পাড়া-মহল্লায় আহ্বায়ক কমিটি গঠন করতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব একটি কেন্দ্রীয় ও কয়েকটি জেলা/উপজেলা/ইউনিয়ন/ওয়ার্ড আহ্বায়ক কমিটি হয়ে গেলে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে “নৈতিক সমাজ” আত্ন-প্রকাশ করবে। চেষ্টা হবে ২০২১ সাল হবে সাংগঠনিক বৎসর। এর মধ্যেই সকল শর্ত পূরন করে জাতীয় নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন করতে হবে। ২০২২ সালে হবে জনসমর্থন সৃষ্টির বছর। ২০২৩ হবে নির্বাচনের বছর। সকল আসনে প্রার্থী দিয়ে নির্বাচনে জিতে এসে ২০২৪ এ বাস্তবায়ন শুরু করতে হবে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের নৈতিক রাজনীতি। তখন শুরু হবে ভিশন অর্জনের - তৃতীয় থেকে প্রথম বিশ্বে উত্তরনের সংগ্রাম; মিশন গুলো অর্জনের সংগ্রাম, রাষ্ট্র পরিচালনায় জনগনের ক্ষমতায়নের সংগ্রাম, আরেকটি মুক্তিযোদ্ধের মত সংগ্রাম। ব্যাপক জনসমর্থন সৃষ্টি করতে পারলে অবশ্যই পরাজিত হবে সকল অপশক্তি, পেশি শক্তি,অর্থ শক্তি ও অসাংবিধানিক শক্তি। যাত্রা শুরু হবে রাইজিং টাইগারের, গড়ে উঠবে প্রথম বিশ্বমানের বাংলাদেশ।




"প্রথমে নিজেকে জানো, নিজেকে বদলাও, নৈতিক আচরনের রোল মডেল হও। তখন অন্যরাও শিখবে তোমার কাছ থেকে" - নৈতিক সমাজ

“নৈতিক সমাজের ভিশন, মিশন, অঙ্গিকার মনে-প্রানে ধারন করে চলতে থাকলে জনগনের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন সম্ভব হবে" - নৈতিক সমাজ।